রাখাইনে আবারো সেনা মোতায়েন, ফের সহিংসতার আশঙ্কা

ডেস্ক রিপোর্ট – মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন ও চীন রাজ্যে আবারও জাতিগত সহিংসতা চালাতে পারে দেশটির সেনা সমর্থিত সরকার, এমনটা আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ৷

ডয়েচে ভেলে জানায়, গত ২১ জুন থেকে দেশটির এ দুই অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ এই ফাঁকে এ দুই রাজ্যে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার সরকার৷

সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় এ এলাকাগুলোতে গত কিছুদিনে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার৷

জাতিসংঘের বিশেষ মুখপাত্র ইয়াংহি লি বলেন, দেশটির সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বেশ শঙ্কিত৷ আমরা জানতে পেরেছি যে, এ এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করছে যেখানে বড় ধরনের মানবাধিকার লংঘনের আশঙ্কা রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থায় জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনে লি বলেন, গত ১৯ জুন মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের মিনব্যে শহরে হেলিকপ্টারযোগে হামলা চালিয়েছে৷ এ ঘটনার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এর পরদিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা মিয়ানমারের একটি নৌযানে আগুন ধরিয়ে দিলে দুই নৌ-সেনা নিহত হয়।

এদিকে মিয়ানমারের এ অঞ্চলটিতে প্রায় ১০ লাখ অধিবাসী রয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার ফলে বিশাল এ জনগোষ্ঠী যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷

দীর্ঘ দিন ধরেই রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশটির এ অঞ্চলে৷ আরাকান আর্মি’ নামে বৌদ্ধদের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি এ অঞ্চলের ‘স্বায়ত্বশাসনের’ দাবিতে আন্দোলন করে আসছে৷

এ ছাড়া ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হামলায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা দেশ ত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়৷ জাতিসংঘের মতে, সেনাবাহিনীর এ আচরণ ছিল ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’।